Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
শীতে মাছ চাষে করনীয়
বিস্তারিত

শীতে মাছ চাষে করনীয়

মাছ তাদের চলাচল কমিয়ে দেয় আবদ্ধ পুকুরের ঠান্ডা পানিতে। যার ফলে মাছের ক্ষুধা এবং মেটাবলিজম কমে যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে পানি ঠান্ডা থাকায়। রোদ অল্প সময় পুকুরের পানিতে পড়ে দিন ছোট হওয়ার কারণে। ফলস্বরূপ পুকুরের পানির তাপমাত্রা কমে যায়।

সাধারণত তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে মাছের মেটাবলিজম বা পরিপাক ভালো হয়। এর কম হলে পরিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়ায় বৃদ্ধির হার কমে যায়।

অন্যদিকে সূর্যের আলো কম পাওয়ায় প্রাকৃতিক অক্সিজেন উৎপাদন কমে যায়। ফলে মাছের শ্বাসকার্য চালাতে কষ্ট হয়। মাছ খাবি খেতে শুরু করে। তাই অক্সিজেনের অভাবে মাছের মৃত্যু ঘটে।

তাছাড়া পানিতে দ্রবীভূত কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় পুকুরের পানিতে অবস্থিত ফাইটোপ্লাঙ্কটন তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায়। এর ফলেও মাছের অসুবিধা হয় শ্বাস নিতে।

প্রাকৃতিক খাদ্যকণা যেমন উদ্ভিদকণা বা ফাইটোপ্লাংটন ও প্রাণিকণা বা জুপ্লাংটন কমে যাওয়ায় স্বল্পতা দেখা দেয় মাছের খাবারে। এর ফলে হ্রাস পায় দৈহিক বৃদ্ধি।

পানির পিএইচ স্বাভাবিক থাকে না শীতকালে। স্বাভাবিক পিএইচের মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকা উচিত মাছের বৃদ্ধির জন্য। পানি বেশি অম্লীয় হয়ে যাবে যদি পিএইচ ৬ এর থেকে কম হয়, ফলে  মাছ খাবার খেতে অনীহা দেখাবে। আবার পানি ক্ষারীয় হবে পিএইচ ৮ এর থেকে বেশি হয়ে গেলে, ফলে অতিরিক্ত ক্ষারত্বের কারণে মাছ মারা যেতে পারে।

শীত মৌসুমে মাছে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গালজনিত, ব্যাকটেরিয়ালজনিত এবং পরজীবীজনিত রোগ দেখা যায়।

এসময় সঠিকভাবে মাছের পরিচর্যা না করলে মাছের অপুষ্টিজনিত রোগ (চোখ অন্ধ হওয়া, হাড় বাঁকা), উঁকুন রোগ, ক্ষতরোগ, ফুলকা পচা রোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ এবং উদর ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরে যেতে পারে।

শীতকালে মাছের খামারের পরিচর্যা
যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে পুকুরের পাড়ের উঁচু গাছপালা। যাতে পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে কৃত্রিম উপায়ে।

সাঁতার দিয়ে, জাল টেনে এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে আর পুকুর বা ঘের বড় হলে কৃত্রিম অক্সিজেন ট্যাবলেট যেমন-এসআই অক্সিট্যাব প্রতি একরে ৪ থেকে ৫ কেজি সন্ধ্যায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য, মাছের সংখ্যা ও ওজন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর পুকুরে জাল টানলে। এছাড়া পুকুরের তলদেশের বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস বের হয়ে যাবে জাল টানার ফলে।

প্রতি শতাংশে 250 গ্রাম লবণ ও  সাথে 50 গ্রাম করে চিটাগুর প্রয়োগ করতে হবে 


প্রয়োজন বশত ভালো মানের জীবাণুনাশক প্রতি শতাংশে এবং কপার সালফেট পেন্টাহাইড্রেট-১০% (এসআই ফাইটোক্লিন) ৩০ মিলিলিটার করে প্রতি শতাংশে প্রয়োগ করতে হবে।

শীতের পুরো সময়ে পানির গুণগত মান ধরে রাখতে ১৫ দিন পরপর প্রতি একর পানিতে একটি উৎকৃষ্ট মানের ওয়াটার প্রোবায়োটিক যেমন-এসআই রয়েল প্রো ৫০০ গ্রামের সাথে ২ কেজি লাল চিনি পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
24/11/2024
আর্কাইভ তারিখ
04/03/2025